ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে বনানী থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর তাকে নিয়ে আদালতের পথে রওয়ানা হয় বনানী থানা পুলিশ।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের পর সন্ধ্যার দিকে র্যাব সদস্যরা পরীমনিকে বনানী থানায় নিয়ে আসে। পরে মামলা রুজু শেষে তাকে কোর্টে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যার দিকে শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮- এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪(খ)/৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ ও মো. সবুজ আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮- এর ৩৬(১) এর সারণি ২৪(খ)/৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ ওয়াইন, ভয়ংকর মাদক আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে র্যাব।
এরপর আলোচিত এ নায়িকাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় র্যাবের সদর দপ্তরে। সেখানে র্যাবের মুখোমুখি হন পরীমনি। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এদিকে র্যাব সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, পরীমনির বাসায় মিনিবার রয়েছে। মদের লাইসেন্স থাকলেও মেয়াদ পেরিয়েছে অনেক আগেই। পরীমনি ও নজরুল রাজসহ এই চক্র ডিজে পার্টি আয়োজনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করত। এসব অর্থ তারা বিভিন্ন ব্যবসার কাজে লাগাত।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, নজরুল রাজের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তার কম্পিউটারসহ কিছু ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়েছে। এগুলো থেকে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হবে।
পাঠকের মতামত